বিষ্ণুপুর – হলো লাল মাটির দেশ। একসময়ের মল্ল রাজাদের রাজধানী। এখানকার মন্দিরগুলিতে অসাধারণ টেরাকোটার কাজ দেখতে সারাবিশ্বের পর্যটক ছুটে আসে।
রাসমঞ্চ – ১৬০৭ সালে রাজা মল্যরাজ বীর হাম্বীর ৩৫ ফুট উঁচু ও ৮০ ফুট চওড়া এই অনবদ্য রাস মঞ্চ নির্মাণ করেন। এই মঞ্চের চূড়া ধাপে ধাপে পিরামিডের আকারে উঠে গিয়েছে।
দলমাদল কামান– রাসমঞ্চের দক্ষিণে ২৯৬ মন (প্রায় ১১৮৪০ কেজি) ওজনের মাকড়া পাথর গলানো লোহা দিয়ে তৈরি কামানটিতে এত বছর পরেও এতোটুকু মরচে পড়েনি। কিংবদন্তি বরগি হামলার সময় মল্ল রাজাদের কুলদেবতা স্বয়ং মদনমোহনের নির্দেশে কামান থেকে গোলাবর্ষণ হত।
জোড় বাংলা মন্দির- এই মন্দিরের গায়ে মহাভারতের নানান ঘটনা, শিকার দৃশ্যের অলংকরণ অসাধারণ।
এছাড়া বিষ্ণুপুরের লাল বাঁধ, বড়ো পাথরের দরজা, যোগেশচন্দ্র পুরাকীর্তি সংগ্রহালয়, পোড়ামাটির শিল্পের জন্য পরশুরা গ্রাম ইত্যাদি বিখ্যাত।
কীভাবে যাবেন?
সাঁতরাগাছি থেকে রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস (০৬.২৫), আরণ্যক এক্সপ্রেস (০৭.৪৫ রবিবার বাদে) হাওড়া থেকে পুরুলিয়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস (১৬.৫০), শিরোমনি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার (১৭.৪৫) হাওড়া চক্রধরপুর ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে (রাত ১২.১৫) বিষ্ণুপুরে পৌঁছে যাওয়া যায়। এছাড়া ধর্মতলা থেকে সরাসরি বাসেও যাওয়া যায়।