ছোটোদের প্রতি একটু খেয়াল ও সতর্ক দৃষ্টি রাখলে তারা পড়াশোনায় ভালো ফলাফল অবশ্যই করবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে কিছু কৌশল, কিছু নিয়ম অবলম্বন করা প্রয়োজন। বাবার থেকে মা, শিশুর সব থেকে কাছের বন্ধু। তাই মায়েদের বেশি ধৈর্য নিয়ে শিশুদের পড়াশোনার পেছনে সময় দেওয়া দরকার।
১) বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ছোটোদের পড়াশোনার জন্য প্রচেষ্টা নেওয়া দরকার। যেমন কখনো গল্প বলে বলে পড়া বোঝানো আবার কখনো খেলাধুলার মাধ্যমে পড়া করানো। খেলার মাঝে মাঝে প্রশ্ন-উত্তর অভ্যাস করানো যেতে পারে। এতে শিশুদের বেশিক্ষণ ধরে খেলার ছলে পড়াগুলো করিয়ে নেওয়া যায়।
২) শিশুদের সারাক্ষণ পড়ার চাপে না রেখে নিয়ম করে প্রতিদিন নানারকম খেলাধুলা (Indoor games / Outdoor games) যুক্ত রাখা দরকার। খেলাধুলা বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়।
৩) প্রতিদিন সঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠা শিশুদের মধ্যে ছোটোবেলা থেকেই অভ্যাস করে দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া সারাদিনের একটা রুটিন করে তাদের কাজগুলো (Home Work) করাতে পারলে ভালো হয়।
৪) সঠিক পরিমাণ বিশ্রাম না নিলে পড়াশোনায় মনোযোগ আসে না। একটানা অনেকক্ষণ না পড়িয়ে সারাদিন অল্প অল্প করে পড়ানো দরকার। এতে তারা খেলার ফাঁকে ফাঁকে পড়তে উৎসাহ পাবে।
৫) শিশু না পারলে বকাঝকা বা মারধোর না করে ধৈর্য নিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে বাচ্চারা ভালোবাসা, আদর-যত্ন সহজে গ্রহণ করে। কেউ তাদের সাথে খারাপ আচরণ করলে তারা সহজে সেটা ভুলতে পারেনা এবং তখন সে জেদি হয়ে ওঠে।
৬) শিশুদের সাহস দেওয়া দরকার। সাহস ছাড়া তারা কখনো আত্ববিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে না। বলা দরকার তুমি পারবে। বার বার করতে করতেই তুমি শিখতে পারবে। এই ভাবে তাদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।
৭) পরীক্ষা নিয়ে বেশি ভয় দেখানো উচিত নয়। পরীক্ষা যে পড়া পড়া একটা খেলা সে ব্যাপারে তাকে সচেতন করে তোলা উচিত।
৮) শিশুরা প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে এতে তাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। যদিও প্রতিটি শিশুই আলাদা তবুও সবার মধ্যে কিছু না কিছু বিশেষ দিক থাকে যা মা-বাবা বা শিক্ষকরা ভালো বুঝতে পারেন। প্রয়োজনে সেই সব ভালো দিক তুলে ধরে তাদের প্রশংসা করা প্রয়োজন।
৯) পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি, আঁকা এসব করানো দরকার। কখনোই শিশুদের অন্য শিশুর সাথে তুলনা করা উচিত নয়। এতে তারা কষ্ট পায়।
১০) নিয়মিত স্কুলের সাথে যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন। লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কুলে অন্য শিশুদের মাঝে আপনার শিশু কেমন আচরণ করে সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়াও দরকার।